প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ "গোল্ডেন ডিপিএস এর নামে প্রতারণা।"
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বর্তমানে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে "গোল্ডেন ডিপিএস এর নামে প্রতারণা" হেডলাইন করে সংবাদ প্রকাশিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে কি ঐ সাংবাদিক'গণ এটা অনুসন্ধান করেছে নাকি কিছু অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নিজেকে নিজের সত্বাকে বিক্রি করেছে? আসলেই কি গ্রাহক প্রতারিত হয়েছে নাকি উক্ত গ্রাহক'গণ খেলাপি গ্রাহক? তারা কি আদৌও গঠনতন্ত্র মেনে বীমা পরিচালিত করেছে নাকি ব্যর্থ হয়েছে? তারা যদি গোল্ডেন ডিপিএস এর প্রকৃত সদস্য হয় তাহলে তাঁরা অফিসে আসছে না বা যোগাযোগ করছে না কেন?
আসুন জেনে নেই।
গোল্ডেন ডিপিএস একটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বীমা সংস্থা যা দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ ধরে সততা ও সুনামের সহিত জনকল্যানে কাজ করে আসছে। গোল্ডেন ডিপিএস অফিস- নুর প্লাজা(৩য় তলা), সুতানাবাদ, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। গোল্ডেন ডিপিএস এর নিয়মিত সদস্যরা এই বীমা প্রতিষ্ঠানের সততায় মুগ্ধ। তবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একটি আইন প্রণালী আছে যেটাকে কোম্পানীর ভাষায় গঠনতন্ত্র বলে। প্রতিটি সদস্য বীমা গ্রহণ করাকালে প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র জেনে বুঝে পড়ে স্বাক্ষর করে বীমা গ্রহন করেন। বীমা গ্রহণ করার পরে যদি গ্রাহক গঠনতন্ত্র মেনে বীমা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেই গ্রাহক এর বীমা বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যদি গ্রাহক ৫ বছরের মধ্যে পুনর্বহাল আবেদন করে তাহলে বীমা ফিরে পওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু যারা বীমা গ্রাহক তাদেরকে একাধিক বার অফিসে আসার জন্য অনুরোধ করলেও এখন পর্যন্ত তাঁরা কেউ অফিসে কেন রকম যোগাযোগ করেনি। এই দায় কার?
তাহলে প্রকৃত সত্য কি?
গত ১৫ই জুন রাজশাহীর বাগমারা থানার ঝিকরা ইউনিয়নে ১৫/১৬ জন মিলে গোল্ডেন ডিপিএস এর নাম প্রতারণার অভিযোগ তুলে একটি মানববন্ধন ও গত ৩০শে জুন একটি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রকৃতপক্ষে তারা কেও গোল্ডেন ডিপিএস এর প্রকৃত সদস্য বা গ্রাহক না। তাহলে এরা কারা? এরা তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর মদদপুষ্ট উক্ত এলাকার চিহ্নিত আন্তজেলা চোরচক্র, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বর্তমানে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে হয়েছেন বিএনপির নেতা। বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলা রয়েছে।
গত ১১ই জুন কালীগন্জ বাজারে সাজেদুর রহমান নামে এক আইনজীবি সহকারীর নিকট এই সংঘবদ্ধ চক্র এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এই চক্রটি তাঁকে মারধর করেন।পরবর্তীতে সাজেদুর রহমান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাগমারা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী নেয় অজ্ঞাত কারণ সেটাও এখনো তদন্ত হয়নি। এই সাধারণ ডায়রী করাই সাজেদুর রহমান এর বড় অপরাধ।
বর্তমানে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, জমিদখল, পুকুর দখল ও নিধন করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। বাগমারা থানায় এই চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় সুশিল সমাজের নাগরিক। সেই সাথে আবেদন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাজশাহী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
সেই সাথে প্রকৃত গ্রহকদের নাম তালিকা সংগ্রহ করে ও অফিসিয়াল ডকুমেন্ট সংগ্রহ পূর্বক প্রকৃত সত্য তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে আহবান জানিয়েছেন আইনজীবি সহকারী সাজেদুর রহমান।